imranmithun.blogspot.Com


সর্বকালের সেরা, বিশটি অমর-প্রেম কাহিনী এবং ভালোবাসার জন্য উৎসর্গকৃত বিশ্ববিখ্যাত সাহিত্যকর্মগুলো

শুক্রবার, জুলাই ২০, ২০১২0 comments


রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েটঃ

"Never was a story of love nor woe that of Juliet and her Romeo." সবাই- মেনে থাকেন এই জুটিই, প্রেমের ইতিহাস বা গল্পগুলোর মধ্যে সর্বাধিক প্রচারিত বা সবচেয়ে বেশী বিখ্যাতযেন ভালোবাসার অপর নাম রমিও-জুলিয়েট বিশ্ব বিখ্যাত ইংরেজ লেখক, William Shakespeare এর কালজয়ী ট্রাজেডি হল এই “Romeo and Juliet!” দুটি ভিন্ন পরিবারের পূর্ববর্তী রেষারেষি, বংশীয় অহংকার ভেদ করে দুজন তরুণতরুণীর প্রথম দর্শনে প্রেমে পড়াপরবর্তী তে পরিবারের বাঁধা, ভয় দেখানো, নানা মাসসিক সংশয়- টানাপোড়ন সব উপেক্ষা করে নানা নাটকীয়তার মাঝে তাদের বিয়ে করাএবং সবশেষে, তথ্যগত ভুলবোঝা বুঝি জনিত কারণে বিষপানে দুজনের মৃত্যু!! সব মিলিয়েই, রোমিও- জুলিয়েট কাহিনী হয়ে গেছে অমর এক প্রেম গাঁথা! তাই পৃথিবীতে যখনই প্রেমের জন্য ত্যাগ- তিতিক্ষার কথা বলা হয়, সবার আগেই উঠে আসে এই যুগলের নাম! যুগে যুগে অসংখ্য নাটক, সিনেমা বানানো হয়েছে এই “timeless love” নিয়ে

এন্টোনি অ্যান্ড ক্লিওপার্টাঃ

অনেকের মধ্যে অন্যতম আরেকটি অমর প্রেমগাঁথার নাম, মার্ক এন্টোনি- ক্লিওপার্টা ঐতিহাসিক এবং একই সাথে দারুণ নাটকীয় এই প্রেম হয়, অনিন্দ সুন্দরী মিসরীয় রাণী ক্লিওপার্টা আর তাঁর প্রধান সেনাপতি এন্টোনির মাঝে শক্তিশালী এবং ঐতিহাসিক চরিত্রদুটির মাঝের এই অমর প্রেম আকর্ষণীয়ভাবে আমাদের কাছে তুলে এনেছিলেন Shakespeare তাঁর যাদুকরী লিখনির মাধ্যমে রাজকীয় ঘাত-প্রতিঘাত, জয়পরাজয় উপেক্ষা করে তাঁরা বিয়ে করেছিলেনপরবর্তীতে রোমান দের সাথে যুদ্ধরত এন্টোনির মনোবল ভাঙার জন্য, তাঁকে যুদ্ধের ময়দানে মিথ্যে সংবাদ শুনিয়েছিলেন যে, শত্রুরা ক্লিওপার্টাকে হত্যা করেছেতারপর এন্টোনি নিজ ছুরিতে মৃত্যুবরণ করেন, অন্যদিকে এন্টোনির মৃত্যুসংবাদ শুনে মিসরীয় রাণী ক্লিওপার্টাও নিজ ছুরিতে আত্মহত্যা করেনShakespeare তাঁদের জন্য বলেছিলেন, “great love demands great sacrifices!”

ল্যাঞ্ছলট অ্যান্ড গুইনেভারাঃ

আরেকটি রাজকীয় এবং সেই সঙ্গে ট্র্যাজিক লাভ স্টোরি গুলোর মধ্যে অন্যতম হল, এই আর্থারিয়ান প্রেম কাহিনী স্যার ল্যাঞ্ছলট অ্যান্ড লেডী গুইনেভারা ইংলিশ কিং আর্থারের স্ত্রী, রাণী গুইনেভারার প্রেমে পড়েছিলেন সেই রাজ্যের বীর একজন নাইট, স্যার ল্যাঞ্ছলটরাজা আর্থারের অবহেলা আর অবজ্ঞার কারণে, একসময় রাণী গুইনেভারাও তাঁর প্রেমে পড়ে যায়কিন্তু একদিন, রাজা আর্থারের অপর নাইট স্যার আগ্রাভেইন, স্যার মোড্রেড এবং একদল সৈন্য এই যুগলকে বদ্ধ কামরায় আবিষ্কার করে ফেলেপরকীয়ার অপরাধে রাণী গুইনেভারাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার শাস্তি ঘোষণা করা হয়স্যার ল্যাঞ্ছলট তাঁর প্রেমিকা লেডী গুইনেভারাকে যুদ্ধ করে বাঁচিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়, কিন্তু তাঁদের এই প্রেমের জন্য পুরো রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং অনেক মৃত্যুর জন্য তাঁরা নিজেদের দায়ী করে, নিজেদের মধ্যে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়পরবর্তীতে তাঁরা দুজনেই দুটি ভিন্ন জায়গায় ধর্মের সেবক হয়ে যান

ট্রিস্টান অ্যান্ড অ্যাইসোলেইডঃ

অনন্য এই প্রেমের কথা আমরা জানতে পারি, মধ্য ইংরেজিয় শাসন আমলে আয়ারল্যান্ডের রাজকুমারী ছিলেন অ্যাইসোলেইড, তিনি ছিলেন ক্রনওয়ালের রাজা মার্কের বাগদত্তাতিনি রাজকুমারী অ্যাইসোলেইডকে নিজ রাজ্য ক্রনওয়ালে ফিরিয়ে আনার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাঁর ভাইয়ের ছেলে ট্রিস্টানকেকিন্তু সেই ভ্রমণে ট্রিস্টান অ্যান্ড অ্যাইসোলেইড একে অপরের প্রেমে পড়ে যানযদিও শেষ পর্যন্ত অ্যাইসোলেইড রাজা মার্ককেই বিয়ে করতে বাধ্য হনকিন্তু তাঁদের প্রেমের কথা রাজ্যে গোপন থাকে নারাজা মার্ক তাঁদের দুজনকেই মাফ করে দেন, এবং বিনিমিয়ে ট্রিস্টানকে রাজ্য ছেড়ে যেতে বাধ্য করেনপরে ট্রিস্টান, অ্যাইসোলেইডের সাথে নামের মিল থাকার কারণে ইসেউল্ট নামক এক রমণীকে বিয়ে করেনকিন্তু, তাঁর আত্মার পুরোটা জুড়ে ছিল অ্যাইসোলেইডের প্রতি প্রেমএক পর্যায়ে ট্রিস্টান, অ্যাইসোলেইডের বিরহে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যানতিনি অ্যাইসোলেইড কে শেষবারের মতো দেখতে একটি জাহাজ পাঠানতাঁর স্ত্রী ইসেউল্ট কে বলেছিলেন, অ্যাইসোলেইড যদি আসে, জাহাজে যেন সাদা পতাকা লাগানো হয় কিন্তু স্ত্রী ইসেউল্ট মিথ্যে বলে, জাহাজে কালো পাতাকা লাগিয়ে রাখেন ট্রিস্টান ভাবলেন অ্যাইসোলেইড আর আসবেন নাপরে তিনি মারা যানপরে তাঁর শোকে অ্যাইসোলেইড, তাঁরই রাজ্যে মারা যান

প্যারিস অ্যান্ড হেলেনঃ

গ্রীক পুরাণের ফ্যাক্ট এবং ফিকশনের অপূর্ব এক সংমিশ্রণ হল, গ্রীকলেখক কালজয়ী হোমারের জগতবিখ্যাত এপিক ইলিয়াডনাম করা সেই যুদ্ধের নাম হল, “Trojan War!” যে যুদ্ধে ধ্বংস হয়েছিল পুরো একটা শহর- ট্রয়! ইতিহাসে যা “war for Helen” কিংবা “Helen of troy” নামে বিখ্যাতগ্রীক পুরাণ অনুযায়ী অনন্য এই সুন্দরী হেলেন ছিলেন, ট্রয় নগরীর পার্শ্ববর্তী, স্পার্টার রাজা মেনেলাসের স্ত্রীট্রয়ের ছোট রাজকুমার প্যারিস তাঁকে চুরি করে তাঁর রাজ্যে নিয়ে এসেছিলেনএতেই বেঁধে গেল ১২ বছর ধরে চলা এক ঐতিহাসিক যুদ্ধ স্পার্টার পক্ষে এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন রাজা এগামেমননএমনকি এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন গ্রীক দেব দেবীরা! ট্রয় রাজকুমার হেক্টর, প্যারিস, দেবতা অ্যাকিলিস, স্পার্টার রাজা মেনেলাস সহ অনেকেই নিহত হনপ্রেমের জন্য এত রক্তপাত আর ধ্বংস পৃথিবীর ইতিহাসে আর নেই

অরফিয়াস অ্যান্ড ইরিডাইসঃ

এটিও একটি গ্রীক মিথসাহিত্যে তাঁদের কাহিনীকে স্বীকৃত দেয়া হয়, “tale of desperate love” বলে গ্রীক পুরাণ মতে, স্বর্গের এক বিবাহিত পরী ইরিডাইসের প্রেমে পড়েন হারপুন নামক এক বাদ্যবাজক অরফিয়াসকিন্তু দেবতা এরিসটেইয়াসের সাথে এই দুর্ঘটনায় অরফিয়াস, ইরিডাইসকে হারিয়ে ফেলেতাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়াহয় পাতালপুরীতেকিন্তু অরফিয়াস তাঁর জাদুকরীএক বাদ্য মূর্ছনায় হারপুন বাজিয়ে দেব- দেবীর মন জয় করে ফেলেতিনি তাঁর রাজ্য ফেলে ক্রমাগত হারপুন বাজিয়ে তাঁর ভালোবাসা ইরিডাইসের জন্য নানা জায়গায় অপেক্ষা করেছেন অবশেষে সঙ্গীত দেবতা হেডস পারসিফোনের ক্ষমায় অরফিয়াস পাতালপুরীতে জান ইরিডাইসকে উদ্ধার করতেকিন্তু শর্ত থাকে যে, অরফিয়াস পৃথিবীতে অবতরণের আগে ইরিডাইসকে পিছন ফিরে দেখতে পারবেন নাকিন্তু অরফিয়াস অতি আবেগে আর উৎকণ্ঠায় দেবতাদের শর্তের কথা ভুলে যায়, এবং ইরিডাইসকে দেখতে থাকেফলাফল, চিরতরের জন্য ইরিডাইসকে হারিয়ে ফেলেবলা হয়ে থাকে, এই যে প্রেম কিংবা বিরহে সঙ্গীত মিউজিক অনেক বড় ভুমিকা থাকে, সেটা নাকি অরফিয়াস আর ইরিডাইসের প্রেমকাহিনী থেকেই অনুপ্রাণিত হওয়া

নেপোলিয়ন অ্যান্ড জোসেপাইনঃ

মহাবীর নেপোলিয়ন ২৬ বছর বয়সে, বয়সে বড় তাঁর রাজ্যের এক ধনী মহিলা জোসেপাইনের প্রেমে পড়েনতাঁরা দুজনেই তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে শ্রদ্ধাবোধ, এবং ত্যাগ বজায় রেখেছিলেনঅনেকটা রাজ্য শাসনের ভারে অনেকটা অগোচরেই ছিল এই প্রেমযদিও তাঁরা সর্বদাই স্বীকার করতেন তাঁদের সম্পর্কের কথানেপোলিয়ন খুব চাইতেন জোসেপাইনের গর্ভে যেন তাঁর সন্তান হয়, কিন্তু মাতৃত্ব ধারণে অক্ষম ছিলেন জোসেপাইনকিন্তু চিরজীবন তাঁরা তাঁদের প্রতি ভালোবাসা ধরে রেখেছিলেন

ওডিসিয়াস অ্যান্ড পেনেলোপঃ

গ্রীক অন্যান্য প্রেমের গল্পের মতোই, এই জুটির প্রেমমেও ছিল, ত্যাগ আর বিসর্জনপ্রেমের ক্ষেত্রে গ্রীক পুরাণের বেশীর ভাগ কাহিনীরই মূলমন্ত্র হল, “Tragedy and sacrifice.” জুটি তাঁদের মিলনের জন্য অপেক্ষা করেছিল দীর্ঘ ২০ বছর! তাঁদের বিয়ের কিছু পরেই ওডিসিয়াসকে যুদ্ধে চলে যেতে হয়েছিলকিন্তু স্বামীর প্রত্যাবর্তননের আশায় আশায় পেনেলোপ তাঁর জন্য অপেক্ষা করেছিল ২০ বছরএরমধ্যে তিনি ১০৮ জন রাজাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল, অপরদিকে ওডিসিয়াসও স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্থ ছিলেনতিনিও অনেক দেবীর প্রেম ফিরিয়ে দিয়েছিলেন Homer রচিত এই এপিকে তিনি প্রমাণ করেছেন, “ভালোবাসার অন্য নাম- অপেক্ষা!” তিনি বলেছেন, “remember that true love is worth waiting for!”

পাউলো অ্যান্ড ফ্রান্সেসকাঃ

সত্য কাহিনী অবলম্বনে এই চরিত্র দুটি নেয়া হয়েছে বিশ্ব বিখ্যাত লেখক Dante-এর অমর সাহিত্য কর্ম হল “Divine Comedy” থেকেফ্রান্সেসকার স্বামী মালাটেস্তা ছিলেন একজন ভয়ানক অপরাধীতাঁর ছোট ভাই পাউলোর সাথে মিলে ফ্রান্সেসকা Dante এর বই পড়ে সময় কাটাতেনপরবর্তীতে দুজনের মধ্যে প্রেম জন্মে নেয় ঘটনা জানাজানি হবার পর খুব স্বাভাবিক ভাবেই ফ্রান্সেসকার স্বামী দুজনকেই হত্যা করে

১০স্কারলেট হারা অ্যান্ড রেথ বাটলারঃ

বলা হয়ে থাকে বিখ্যাত লেখক Margaret Mitchell এর কালজয়ী ক্লাসিক “Gone with the Wind,” হল ভালোবাসা বাসি মানুষের জন্য এক বাইবেল! সিভিল ওয়ারের পটভূমি নিয়ে, এবং স্কারলেট-বাটলারের বাঁধন হারা-উন্মাতাল প্রেম, মানসিক টানাপোড়ন, চাওয়া- পাওয়ার হিসেব, দেশের অস্থির সময়এই সব কিছু মিলিয়েই এটি হয়ে উঠেছে অমর এক সাহিত্য কর্মউচ্চাকাঙ্ক্ষী স্কারলেট কখনোই কারও বাঁধনে নিজেকে বাঁধতে নারাজ ছিলকিন্তু বাটলারের উন্মত্ত প্রেমকে সে কখনোই উপেক্ষা করতে পারেনিসুখী জীবনের চিন্তায় বিভোর স্কারলেটের সুখ বেশীদিন স্থায়ী হয়নিতাঁর মনস্তান্তিক দ্বন্দ্ব রয়েই গেলআর তাইতো শেষে স্কারলেট বলেছিল, “Tomorrow is another day!”

১১জেইন আয়ার অ্যান্ড এডওয়ার্ড রজেস্টারঃ

লেখক ‘’Charlotte Bronte” এর বিখ্যাত উপন্যাস “Jane Eyre” এর প্রধান চরিত্র জেইন ছিল এতিম এক মেয়ে, যে কিনা ব্যবসায়ী রজেস্টারের ঘর দেখভাল করার জন্য গভর্নেস হিসেবে আসে বয়সে অনেক বড় আর প্রচণ্ড একা একটা মানুষ রজেস্টারের জীবনে জেইন যেন এক বসন্ত নিয়ে এসেছিলবয়স কিংবা সামাজিক ব্যবধান কোন কিছুই তাঁদের প্রেমে বাঁধা হতে পারেনিকিন্তু বিয়ের দিনে জেইন আবিষ্কার করে রজেস্টার পূর্ববিবাহিতজেইন তাঁকে ছেড়ে চলে যায়পরে জেইন জানতে পারে, রজেস্টার তাঁর অসুস্থ পাগল স্ত্রীর প্রতি কোন অবহেলা করেনি শুধু তাঁকে হারাবার ভয়ে এই সত্যটা গোপন করেছিলপরে যদিও ভয়াবহ এক অগ্নিকান্ডে রজেস্টার তাঁর বাড়ি, অসুস্থ স্ত্রী কে হারিয়ে ফেলেছিলসে নিজেও তাঁর দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলেছিলঅবশেষে দীর্ঘ বিরহের পর জেইন তাঁর কাছে ফিরে আসেএই উপন্যাসের প্রতিটি বাক্য যেন এক একটি প্রেম প্রত্র!! প্রচণ্ড আবেগি সব লেখা পড়ে পাঠকের মন খুব সহজেই প্রবাবিত হয়

১২লায়লা এবং মজনুঃ

মধ্যযুগীয় ইরানী কবি “Nizami of Ganje” নামে যিনি পরিচিত, তিনি আরবীয় সামাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে রচনা করেন, “Layla and Majnun is a tragic tale about unattainable love.” প্রেমের ইতিহাসে, বিশেষ করে এই উপমহাদেশীয় মুসলিম সমাজে কালজয়ী হয়ে উঠে দুটি চরিত্র, লায়লা মজনুস্বর্গীয় প্রেমের প্রতীক মানা হয় এই জুটিকেবাল্যকাল থেকেই লায়লা আর মজনুর প্রেম গড়ে উঠেকিন্তু দুজনের সামাজিক ব্যবধান বিপত্তি বাঁধালবলা আছে, লায়লার পিতা মজনুকে আহত করলে লায়লারও আহত হতো, এমননি ছিল তাঁদের সেই স্বর্গীয় প্রেম মজনু কে মরুভূতে পাঠিয়ে দেয়া হয়পরে বেদুঈনের দল মজনুর হার না মানা ভালোবাসা দেখে তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেতাঁরা লায়লার বাবাকে যুদ্ধে হারিয়ে দেয়কিন্তু ততদিনে অনেক দেরী হয়ে যায়লায়লাকে তাঁর পিতা জোর করে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়স্বামী মারা যাবার পর, যদিও লায়লা মজনুর কাছে ফিরে আসে, কিন্তু প্রচণ্ড দুঃখ আর অনাহারে মজনু মারা যায়লায়লাও তাঁর ভালোবাসা মজনুর পথ অনুসরণ করেদুই দেহ এক আত্মা,” নামক বহুল প্রচলিত কথা এই যুগলের অনুপ্রেরণায় পাওয়া

১৩লুইস অ্যান্ড বেলার্ডঃ

“A story of a monk and a nun,” যাদের চিঠিগুলোই সবচেয়ে বেশী বিখ্যাতলাভ লেটারসবলে আমরা যে টার্ম টা ব্যবহার করি, তা এই যুগলের বদৌলতেই পাই প্যারিসের বিখ্যাত নটরডেম স্কুলে পড়তে যায় পিটার বেলার্ডতাঁর শিক্ষক বিখ্যাত দার্শনিক ফ্লোবার্ডের অনুরোধে, ভগ্নীকন্যা লুইসকে পড়াতে রাজী হয় বেলার্ডের জ্ঞান, মেধা এবং বুদ্ধিমত্তার আকৃষ্ট হয়ে লুইস বেলার্ডের প্রেমে পড়ে যায়তাঁরা গোপনে বিয়ের বাঁধনে আবদ্ধ হয় এবং লুইস গর্ভবতী হয়ে পড়ে কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় ফ্লোবার্ডতাঁর ভয়ে বেলার্ড, লুইসকে নিরাপদ জায়গায় রেখে আসেকিন্তু এক রাতে ফ্লোবার্ডের অনুচররা ঘুমন্ত বেলার্ডের অঙ্গহানি করেবেলার্ডের কষ্টে বাকী জীবন লুইস নান হিসেবে কাটিয়ে দেয়, এবং বেলার্ড হয়ে যায় একজন মঙ্ক (ধর্মীয় গুরু)! ইতিহাস হয়ে থাকে তাঁদের আত্মত্যাগ, আজও বিখ্যাত হয়ে আছে তাঁদের প্রেম পত্রগুলো

১৪রামোস অ্যান্ড থিইবীঃ

খুবই আবেগি আর হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া আরেকটি রোমান প্রেম কাহিনীবলা হয়ে থাকে, এই জুটি তাঁদের প্রেম দিয়ে প্রভু থেকে কথা নিয়ে রেখেছে যে, স্বর্গেও তাঁরা এক সাথে থাকবে! ব্যবিলনের সবচেয়ে সুন্দরী কুমারী থিইবীর বাল্যকালের বন্ধু ছিল সুপুরুষ রামোসতাঁরা ছিল প্রতিবেশীএকই সাথে বেড়ে উঠতে গিয়ে একে অপরের প্রেমে পড়েকিন্তু তাঁদের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয় নাতাই তাঁরা ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়সূর্যাস্তের সময় ঘর পার্শ্ববর্তী একটা ম্যালবেরী গাছের কাছে দুজনের দেখা করার কথা থাকেথিইবী গোপনীয়তা রক্ষার্তে মুখে একটা কাপড় পরে (veil) রেমোসের জন্য গাছের নিচে অপেক্ষা করতে থাকেহঠাৎ এক ক্ষুদার্ত সিংহ আসে থিইবীর কাছেভয় পেয়ে দৌড়ে অন্যজায়গায় আশ্রয় নেয়ার সময় তাঁর মুখের কাপড়টি খুলে পড়ে যায়পরে রামোস এসে দেখে যে, সিংহের মুখে সেই কাপড়সে ভাবে যে, সিংহ তাঁর থিইবীকে ভক্ষণ করেছেসেও তাঁর ছুরি দিয়ে নিজের বুক কেটে ফেলেঅনেকক্ষণ পর থিইবী এসে মৃত রামোসকে দেখতে পায়তারপর সেও সেই একই ছুরি দিয়ে নিজের প্রাণ বিসর্জন দেয়

১৫ডার্সি অ্যান্ড এলিজাবেথঃ

বিখ্যাত ইংরেজ উপন্যাসিক Jane Austen এর কালজয়ী প্রেমের গল্প হল “Pride and Prejudice” এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হল তৎকালীন ইংরেজ ধনী সমাজের এক তরুণ ডার্সিউচ্চ শিক্ষিত, প্রচণ্ড আহঙ্কারি, স্বভাবে নাকউঁচু, আর বংশমর্যাদায় গর্বিত এই ডার্সি, ঘটনাচক্রে এবং নানা নাটকীটার মাঝে সাধারণ-মধ্যবিত্ত এক পরিবারের মেয়ে এলিজাবেথের সাথে পরিচয় হয়এলিজাবেথ ছিল মিঃ অ্যান্ড মিসেস বেনেটের পাঁচটি মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয়মিঃ অ্যান্ড মিসেস বেনেট সবসময় তাঁদের মেয়েদের প্রচণ্ড স্বাধীনতা দিয়েছিলেননাকউঁচু ডার্সি সবসময় এলিজাবেথ কে তাঁদের সামাজিক এবং পারিবারিক অবস্থান নিয়ে ব্যাঙ্গ, অপমান করতেনকিন্তু ধীরে ধীরে এলিজাবেথের রূপ গুণে মুগ্ধ হয়ে সেটা ভালোবাসায় রূপান্তরিত হয়কিন্তু ডার্সির অভিজাত পরিবার তা মেনে নেয় না, ওদিকে এলিজাবেথের পরিবারেরও ঘটতে থাকে নানা অঘটনঅবশেষে নানা নাটকীয়তার পরে ডার্সি- এলিজাবেথের মিলন হয়নানা নাটকীয়তা, হাস্যরসে ভরা, তৎকালীন ইংরেজ সমাজের হরেক রকম দিক, লেখকের চমৎকার বর্ণনায় এই উপন্যাসটি হয়ে উঠেছে ইংরেজি সাহিত্যের অমর এক সৃষ্টি

১৬সেলিম এবং আনারকলিঃ

মোঘল সম্রাট আকবর পুত্র সেলিম আর রাজ্যের নর্তকী অনিন্দ্য সুন্দরী আনারকলির প্রেম সম্পর্কে আমরা সবাই- জানিপ্রেমের জন্য এত বড় আত্মত্যাগ এই উপমহাদেশে আর কেউ দেখেনিসম্রাট আকবর এই সম্পর্ক কখনোই মেনে নেন নি কিন্তু সেলিম দমবার পাত্র নয়আনারকলিকে পাবার জন্য নিজ পিতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেকিন্তু শক্তিশালী আকবর বাহিনীর কাছে সেলিম খুব সহজেই পরাজিত হয়নিজ সন্তানের মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করেন আকবরসেলিম কে বাঁচাতে আনারকলি তাঁর হার স্বীকার করেন, এবং নিজের জীবনের বিনিময়ে সেলিমের জীবন ভিক্ষা চানঅবশেষে, সেলিমের চোখের সামনেই আনারকলিকে জীবন্ত কবর দেয়া হয়!!

১৭পকাহন্টাস অ্যান্ড জন স্মীথঃ

ভারতীয় পাঠান রাজা পউহাতান ছিলেন আমেরিকার ভার্জিয়ানা অঙ্গরাজ্যের এলগনকুইন ইন্ডিয়ানস নামক সেনাদলের সদস্যতাঁর কন্যা পকাহন্টাস প্রথম দর্শনেই প্রেমে পড়ে যায় আমেরিকান এক ছেলের- নাম জন স্মীথপকাহন্টাস তাঁর বাবার সৈন্যদলের হাত থেকে রক্ষা করে স্মীথ কেসেই কৃতজ্ঞতা বোধ থেকেই এই প্রেমের শুরুপরে তাঁরা একে অপরকে সমাজে প্রতিষ্ঠা পেতে নানাভাবে সাহায্য করেদু পরিবারের মদ্ধেও সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠেকিন্তু এক যুদ্ধে গানপাউডার দ্বারা আহত হয়ে স্মীথ যখন আমেরিকা ছেড়ে ইংল্যান্ডে চলে আসে, তখন পকাহন্টাসকে মিথ্যে বলা হয়, স্মীথ মারা গেছে! সাথে পকাহন্টাস কে গ্রেফতার করা হয়, তাঁর পিতার সৈন্যদলকে কাবু করার জন্যঅনেক বছর বন্দী থাকার পর, অনেক চড়াই উৎরিয়ে পকাহন্টাস খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে, এবং নাম পাল্টে রাখেরেবেকা” (Rebecca)ইতিমধ্যে সে জন রলফ নামে একজন কে বিয়ে করেএবং প্রায় বছর পর লন্ডনে এসে রেবেকা জানতে পারে স্মীথ বেঁচে আছেকাকতালীয় ভাবে দেখা হওয়া- ওটাই তাঁদের শেষ দেখা

১৮শাহজাহান এবং মুমতাজঃ

১৬১২ খ্রিষ্টাব্দে আরজুমান বানু নামক এক বালিকার সাথে ১৫ বছরের শাহজাহা্নের বিয়ে হয়পরে যিনি কিনা মোঘল সাম্রাজ্য পরিচালনা করেনশাহজাহান তাঁর ১৪ সন্তানের মাতা এবং প্রিয় স্ত্রীর নাম পাল্টে রাখেন মুমতাজ মহল১৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে মুমতাজের মৃত্যুর পর, স্ত্রীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি স্থাপত্য নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেনযাতে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক কাজ করেছিল, প্রায় হাজার হাতী ব্যবহার করা হয়েছিল, এবং প্রায় ২০ বছর লেগেছিল সেই স্থাপত্য নির্মাণ শেষ হতেযদিও সেই অনিন্দ্য সুন্দর কালো মার্বেল পাথরের সৌন্দর্য তিনি সম্পূর্ণ দেখে যেতে পারেননিনিজ পুত্র দ্বারা তিনি লাল আগ্রা ফোর্ট তিনি বন্দী ছিলেন অনেকদিনযমুনাতীরে যেখানে তাজমলগড়ে ওঠেছিল, শেষ জীবনে শাহজাহান ওখানে একাকী সময় পার করেছেনমৃত্যুর পর তাঁকে সেখানে সমাহিত করা হয়তাঁর ভালোবাসার নিদর্শনে তিনি রেখে যান, পৃথিবীর সপ্তাচার্যের মাঝে একটি তাজমল!”

১৯মেরি অ্যান্ড পিয়েরি কুরীঃ

এই জুটির ছিলনা কোন লোকদেখানো, বাড়াবাড়ি রকমের আবেগছিল না কোন পুরাণিক ট্র্যাজেডি, দ্বন্দ্ব, যুদ্ধ, দেবদেবীর হস্তক্ষেপ, কিংবা ছিলনা কোন অবৈধ কাহিনীআধুনিক আর দশটা মানুষের মতোই ছিল তাঁদের প্রেম কাহিনীকিন্তু ছিল বিশ্বাস, এঁরা ছিলেন একে অপরের অনুপ্রেরণা! মানবতার কল্যাণে আর কাজের মধ্যেই এগিয়েছে তাঁদের প্রেমতৎকালীন পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় নারীদের রিসার্চে অনুমতি দেয় নি বলে, ১৮৯১ সালে রিসার্চ করতে মেরী গিয়েছিলেন ফ্রান্সের সর্বরনেমেধাবী মেরী কে লাইব্রেরী, ল্যাবরোটারি সবখানেই আবিষ্কার করেন আরেক মেধাবী, মেরীর ল্যাবরোটারি ডিরেক্টর পিয়েরি কুরী কয়েকবার বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার পর, ১৮৯৫ সালে তাঁরা বিয়ে করেন১৮৯৮ সালে এই বৈজ্ঞানিক যুগল আবিষ্কার করেন পলোনিয়াম আর রেডিয়ামপদার্থ বিদ্যায় এবং রেডিও-আক্টইভিটিতে অবদানের জন্য এই দম্পতি ১৯০৩ সালে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন১৯০৪ সালে পিয়েরি কুরী মারা যাবার পর মেরী নিজের স্বামীর দেশেই থেকে যাবার সিদ্ধান্ত নেন এবং কুরীর অসমাপ্ত কাজ শেষ করার চেষ্টা করেনঅবশেষে ১৯১১ সালে মেরী কুরী পৃথিবীর একমাত্র নারী যিনি দ্বিতীয়বারের মতো এবং ভিন্ন বিষয়ে নোবেল অর্জন করেনএবার তাঁর বিষয় ছিল কেমিস্ট্রি! ১৯৩৪ সালে লিওকিমিইয়ায় মারা যাবার আগ পর্যন্ত স্বামী পিয়েরি কুরীর বিভিন্ন রিসার্চ তিনি চালিয়ে যান

২০কুইন ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড প্রিন্স আলবার্টঃ

হাজার বছরের পুরানো ইংরেজ সিংহাসন, আর তাঁদের হাজার হাজার প্রেম কাহিনীর ভিড়ে বলা হয়ে থাকে কুইন ভিক্টোরিয়া আর প্রিন্স আলবার্টের প্রেম কাহিনী অতুলনীয়কুইন ভিক্টোরিয়া তাঁর স্বামী প্রিন্স আলবার্টের মৃত্যুর পর প্রায় ৪০ বছর পর্যন্ত তাঁর জন্য শোক করেছেনভিক্টোরিয়া তাঁর চাচা king William- iv এর মৃত্যুর পর ১৮৩৭ সালে ইংরেজ সিংহাসনের দায়িত্ব নেন১৮৪০ সালে কুইন ভিক্টোরিয়া তাঁর ফার্স্ট কাজিন প্রিন্স আলবার্ট কে বিয়ে করেনপ্রিন্স আলবার্ট ছিলেন জার্মান সংস্কৃতিমনা এক উদার, প্রাণোচ্ছল মানুষঅনেকের অনেক কটু কথায় কান না দিয়ে তাঁরা সুখী একটা পরিবার গঠন করেছিলেনতাঁরা একে অপরকে প্রচণ্ড ভালবাসতেনতাঁদের ছিল জন সন্তান১৮৬১ সালে স্বামী আলবার্ট মারা যাবার পর, তিনবছর পর্যন্ত কুইন ভিক্টোরিয়া জনগণের সামনে আসেননিপরে জনগণের চাপে এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন দিস্রাইলের নেতৃত্বে ১৬৮৮ তে নতুন পার্লামেন্ট ঘোষণা করেন১৯০১ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত, তিনি যেখানেই যেতেন, কালো কাপড় পরে যেতেনব্যক্তিগত শোককে শক্তিতে পরিণত করে, কুইন ভিক্টোরিয়ার শাসনামলই ছিল ব্রিটিশ রাজপরিবারের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় শাসনামলব্রিটিশ এই রাজত্বকে তখন থেকেই বলা হয়, “the sun never set.”





___________________________________________________
তথ্য ছবিঃ উইকি ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইটসেই সাথে সাহিত্যের ছাত্রী হবার সুবিধায় নিজের অল্পস্বল্প জ্ঞান!!

বাছাইপ্রক্রিয়াঃ ইন্টারনেট থেকে পাওয়া এই বিশটি যুগল নির্বাচিত করা হয়েছে মূলত প্রাচীন এবং ইতিহাসে অপেক্ষাকৃত যারা আগে এসেছেন সেই ভিত্তিতেতারপর দেখা হয়েছে, কাদের ঘটনা বহুলপ্রচলিত এবং বিশ্বের বেশীরভাগ মানুষ জানেন এমন সব কাহিনীএমন নয় যে, ভালোবাসায় আর কেও বিখ্যাত হন নি

আরও অনেক কাহিনী, হাজারো সাহিত্যকর্ম যেমনঃ শেক্সপিয়ারের আরেকটি অসাধারণ ট্র্যাজিক সাহিত্য ওথেলো-দেসদিমোনা চরিত্র, পার্সিয়ান বিখ্যাত প্রেম কাহিনী শিরি-ফরহাদ, , রামায়ণের রাম-সীতা, শরৎচন্দ্রের দেবদাস-পার্বতী, রবীন্দ্র ঠাকুরের "শেষের কবিতা" অমিত-লাবণ্য চরিত্রের কথা পৃথিবীর সব বাঙালীর প্রিয়, ইংরেজ রাজা Edward-viii মিসেস ওয়ালিসের প্রেমে পড়ে রাজত্ব ত্যাগের কাহিনী, Emily Bronte এর বিখ্যাত উপন্যাস “Wuthering Heights” এর হেথক্লিফ-ক্যাথরিন জুটি, সহ আরও অনেক অনেক বিখ্যাত কাহিনী সাহিত্য কর্ম আছে, সেগুলোর মূলমন্ত্র ছিল- ভালোবাসাযতদিন পৃথিবী থাকবে, ভালোবাসার জন্য যাঁদের আত্মত্যাগ সবাই স্মরণ করবে


পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রেমের তাঁরাই ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন,কিংবা বিখ্যাত আর ঐতিহাসিক সাহিত্যকর্মের বেশীরভাগ কাহিনীতেই আছে ভালোবাসার জন্য ত্যাগ, কষ্ট, অপেক্ষা আর সেক্রিফাইস!! আবারো সেই পুরানো বিতর্ক সামনে চলে আসেঃ প্রেমের সার্থকতা কিসে? মিলনে নাকি বিরহে?

যাক, বিতর্কে না যাইআসলে প্রতিটি মানুষের প্রেমই তার নিজের কাছে বিখ্যাত, বিশেষ কিছুপ্রেম-ভালবাসা, বিরহ-কষ্ট এগুলোর কোন নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয় না ব্যক্তি বিশেষে এগুলোরও তারতম্য ঘটেতাইতো পৃথিবীর আদি এই রূপটা নিয়ে আজও মানুষের মাতামাতিভালোবাসা-বাসির সাথে জড়িত প্রতিটি মানুষের জন্য শুভেচ্ছা
(সংগৃহিত)
Share this article :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Support : Syntax | Created by:imranmithun |
Copyright © 2011. Syntax IT World - All Rights Reserved
Template Modify by IMRAN MITHUN